ধুলগাগড়াখালী সিআইজি পুরুষ (ফসল) সমবায় সমিতির সফলতার গল্প
ধুলগাগড়াখালী সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। এ গ্রামের লোকের কৃষি কাজই অন্যতম পেশা। ধুলগাগড়াখালী গ্রামের কৃষকদের সমবায়ী চাষাবাদ সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। উপজেলা কৃষি অফিস, বেলকুচি কর্তৃক উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০১৬ সালে, ঐ গ্রামের ৩০ জন কৃষক মিলে সমবায়ী সমিতি গড়ে তোলে যার নামকরণ করা হয় “ধুলগাগড়াখালী সিআইজি পুরুষ (ফসল) সমবায় সমিতি লিমিটেড”। যা ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম (ফেজ-২) প্রকল্প এর আওতায় কমন ইন্টারেস্ট গ্রæপ। সমিতির সদস্যরা সমবায়ী ভিত্তিতে ফসল চাষাবাদ করে এবং সঞ্চয়ী অর্থ সমিতি নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখে। বর্তমানে সিআইজির ব্যাংক একাউন্টে ২,৩১,৫৭০/- টাকা বিদ্যমান। তাদের কর্মপরিধি বাড়তে থাকলে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উপজেলা সমবায় অফিস হতে “ধুলগাগড়াখালী সিআইজি পুরুষ (ফসল) সমবায় সমিতি লিমিটেড” নামে রেজিস্ট্রেশন করে যার নিবন্ধন নম্বর-৪, তারিখ ২০/১২/২০১৮। এনএটিপি-২ প্রকল্প হতে তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মাঠে বিভিন্ন প্রযুক্তি বা¯তবায়ন করছে, যা গ্রামের অন্যান্য কৃষকরাও গ্রহণ করছে ঃ
ক্স এনএটিপি-২ প্রকল্পের প্রদর্শনীর মাধ্যমে তারা ফসল উৎপাদনের আধুনিক প্রযুক্তি, উচ্চমূল্য ফসলের চাষ, বসত বাড়ীতে সবজি চাষ, আদর্শ ফল বাগান স্থাপন কৌশল, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় ভার্মিকম্পোস্ট ও ট্রাইকোকম্পোস্ট তৈরি প্রযুক্তি রপ্ত ও বা¯তবায়ন করছে।
ক্স এছাড়া কমিউনিটি বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে নিজেদের বীজ নিজেরা সংরক্ষণ করে ফসল উৎপাদন করছে, ফলশ্রæতিতে তারা নি¤œমানের বীজ কিনে প্রতারিত হচ্ছে না।
ক্স সিআইজির সদস্যরা মাসিক সভার মাধ্যমে জমানোকৃত অর্থ আয় বর্ধনমূলক কাজে বিনিয়োগ ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
ক্স ধুলগাগড়াখালী গ্রামে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ছিল অপ্রতুল। তারা এআইএফ-২ ম্যাচিং গ্রান্ট হতে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে ২ টি পাওয়ার টিলার ক্রয় করে, যা তাদের জমি কর্ষন সহ পাশ্ববর্তী কৃষকদের জমি কর্ষনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ক্স সমিতির সভাপতির ভাষ্যমতে চলতি রোপা আমন মৌসুমে কর্ষন বাবদ তারা নীট ২৭,০০০/- টাকা আয় করেন।
ক্স ভার্মিকম্পোস্ট ও ট্রাইকোকম্পোস্ট তৈরি করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করে তারা এবছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৪৫,০০০/- টাকা আয় করেছেন।
ক্স আগামী বোরো মৌসুমে আনুমানিক ১০০ বিঘা জমি চাষ করে নীট ৫৫,০০০/- টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা করছে।
সমিতির কার্যক্রমের এ ধারা অব্যাহত থাকলে কৃষকেরা তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথ সুগম হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস